মাইক্রো ফিনান্স ও ভারতীয় দরিদ্রশ্রেণী Micro finance and Indian Poor class
This article is written for people use Bengali language .
The topic is " Indian Poor class and Micro finance".
Self help group, Grameen Bank (GB) ,Community based financial systems (CBFS) , NGOs in micro-finance whatever their name may be they should change their policy for Poverty Alleviation. otherwise Poor will be at the mercy of suicide.
The article will be finished in three part, this is first part. I request people working for 'Demand and Dignity' a campaign launched by Amnesty International should read these three parts. Indian people -- those are in poor class and lower middle class are being trapped and ruined by the personal loan taken from local usurers with interest ranging 10% to 60% monthly, in market place, poor vegetable vendors take loans amounting Rs. 100/ to Rs. 500/ at 10% interest rate per day. Anyway, stop these private practices and give poor and weak people a constitutional legal support to fight these unlawful acts /cases and make poor people lives safe and secured.
মাইক্রো ফিনান্স ও ভারতীয় দরিদ্রশ্রেণী
এখানে আমার দেখা কিছু অভিজ্ঞতা আমার পাঠকের সাথে আদানপ্রদান করতে চাই। আমার মনে হয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত জরুরী, এই ব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনিক অর্থমন্ত্রকালয়ের, রিজার্ভ ব্যাংকের, সাংবাদিক, গবেষক ও মানবাধিকার অফিস ইত্যাদি সবার দৃস্টি আকর্ষণ করছি।
মাইক্রো ফিনান্স যে অর্থে গরীব সাধারণের উন্নতিকল্পে মাইক্রো ফিনান্সের জনক মহম্মদ ইউনুস ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিলেন সে অর্থে ব্যবহার কতটুকু হয়েছে গত ১০ বছরে তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমি দেখেছি শহর, আধা শহর বা শহরেরপ্রান্ত সীমানা ছাড়িয়ে গ্রাম বা গভীরগ্রামে মাইক্রো ফিনান্স প্রতিষ্ঠানগুলি যায়না। মাইক্রো ফিনান্স প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু তাদের ব্যবসার একটা নতুন বাজার তৈরী করেছে যেখানে বড় ব্যাংকগুলি টাকা খাটায়না নিরাপত্তা ও তাদের কৌশলের জন্য।
বড় বড় ব্যাংক ব্যক্তিগত ঋণ বা পারসোনাল লোন দেওয়ার সময় তাদের কিছু শর্তে গ্রাহককে সই করিয়ে নেয়, যেই শর্তগুলি ( ইংরেজিতে থাকার দরুন বা খুব ছোট লেখার দরুন) অধিকাংশ গ্রাহক পরেননা। ওই শর্তগুলি মেনে ঋণ নিয়ে গ্রাহক তার নিজের নিরাপত্তার অস্ত্র হারিয়ে ফেলেন। তারা ব্যাংকের কিস্তি দিতে না পারলে, ( হতে পারে গ্রাহকের কোন বিশেষ বিপর্যয় গেছে বা দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছেন, আর্থিকনাশ হয়েছে, কিস্তি দিতে ব্যর্থ ) ব্যাংক তার ঘরের জিনিসপত্র, সখের সবকিছু তুলে নিয়ে যেতে পারে, ভয়, হুমকী ও মারধোর গ্রাহকের পয়সায় গুণ্ডা ও লোকজন লাগিয়ে করতে পারে। এসব খবরের মাধ্যমগুলিতে এতদিন আমরা দেখেছি। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দোহাই দিয়ে অনেককে লোন দেয়না। ছোটখাট অংকের ধার বা লোন উপেক্ষা করে চলে।
মাইক্রো ফিনান্সের বেসরকারি ব্যাংকগুলি এই বিশেষ ক্ষেত্রটিকে অর্থঋণ দেওয়ার জন্য বেছে নিয়ে পূর্ণমাত্রায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের গালভরা অনেক নাম ও যশ।
তারা প্রচার করে তারা সাধারণ গরীব মানুষকে আর্থিক ঋণ দিয়ে গরীব মানূষদের স্ব-নির্ভর করছে। গরীব মানুষের ব্যবসা বাড়াচ্ছে, গরীব মানুষের উন্নতি করছে। এখন দেখতে হবে গরীব চিহ্নিত করার সঙ্গা কি? কারোর বাৎসরিক আয় এক লাখ টাকা(১০০,০০০), আবার কারোর বাৎসরিক আয় পনেরোহাজার টাকা (১৫,০০০) এই ২০১০ সালে। আগেরজন খেয়েপড়ে সচ্ছল, অন্যজন ন্যুনতম বাঁচার সংস্থান নেই। সেবা প্রতিস্থানগুলির কাকে সাহায্য করা উচিত? গ্রামের স্বল্পআয়ের ব্যক্তি কয়জন ও কত শতাংশ মাইক্রো ফিনান্সের লোকজনদের সাহায্য পেয়েছে তা সংশ্লিস্ট প্রসাশন/সরকার, গবেষক ও আগ্রহী ব্যক্তিগনের নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা দরকার, কারণ গরীবের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকে প্রতিষ্ঠান মুনাফা লুটছে। গরীব সেই অন্ধকারেই আছে।
মাইক্রো ফিনান্স গরীবের কাছে এখনো পৌছায়না। যেহেতু টাকা বিনিয়োগ গরীবের কাছে ঝক্কি বা রিস্ক বা তাদের থেকে ব্যবসা করা বিপদমুক্ত নয় তাই। তাহলে মাইক্রো ফিনান্সের প্রতিষ্ঠানগুলি কোথায় টাকা বিনিয়োগ করে?
সরকার মহাভারতের কৌরব পিতা ধৃতরাস্ট্রের মতন মাইক্রো ফিনান্সের কাজকর্মের প্রতি ভালবাসায় অন্ধ।
মাইক্রো ফিনান্সের প্রতিষ্ঠানগুলি প্রথমে বিনিয়োগের স্থান বেছে নেয় শহর বা প্রান্ত শহরাঞ্চলে যেখানে টাকা বিনিয়োগ বিপদমুক্ত। খাতাকলমে দেখায় গ্রাম ও পঞ্চায়েতের অধীনে, আসলে পৌরসভার অধীনে শহর বা আধাশহর। মোটামুটি প্রতিটি বাড়ীর গড় উপায় এক লাখ থেকে দশ লাখ, মোটামুটি সবাই স্বচ্ছল। হয়তো, দু একজন আর্থিক দুর্বল। কিন্তু তারা এমন নয় যে তাদের ঋণ ছাড়া চলবেনা।
প্রথমে তারা মহিলাদের সাথে যোগাযোগ করে, ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ৩০/৩৫ জন মহিলার একটা বা একাধিক দল বানায়। সপ্তাহে একদিন সবার টাকা সংগ্রহের জন্য কারো বাড়ীতে বিনা পয়সায় ঠিকানা বানায়। তাদের সাময়িক অফিস বানায়। বলাবাহুল্য পুরুষদের ঋণ দেয়না ( হয়তো আমি জানিনা, দেখিনি)। সম্ভবতঃ পুরুষরা গরীব নয় বা মাইক্রো ফিনান্সের যোগ্য নয়। দল বানাবার সময় মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা মহিলাদের মগজে এমন কিছু ভয় রাখে যাতে তারা মাইক্রো ফিনান্সের লোকদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।
তারা প্রতিসপ্তাহে সভা করতে আসবে, এই সভাতে বিন্দু মাত্র স্বনির্ভর বা ব্যবসা করার শিক্ষনীয় কিছু নেই, মহিলারা বাড়ীর কাজ ফেলে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় যতক্ষণ মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা থাকবে তাদের কাজকর্ম করবে ততক্ষণ পুতুলের মত বসে থাকতে হবে। এইসময়টার কোন দাম নেই! এটা ঋণ নেওয়ার ও পরিশোধের একটা অপরিহার্য অংগ।
তিন থেকে সাতটি সপ্তাহের মধ্যে কারা কারা ঋণ পাবে তা স্থির হয়। এই মহিলা দলটির অধিকাংশই ঋণ নেয় নিজের সখ আহ্লাদের জন্য, বড় বড় ব্যাংকগুলির কাছে তারা এই সহজ ছোট ঋণটি পেতনা। মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা প্রতিটি ঋণ আবেদনকারী মহিলার বাড়ী গিয়ে তার আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে, তার স্বামীর আয় ও আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কে কথা বলে তার স্বামীর সাথে এবং তার স্বামীকে গ্যারান্টার বানায়। ঋণ আবেদনকারীর নিজের বাড়ী না ভাড়া বাড়ীতে বসবাস ইত্যাদি দেখে নেয়। ভাড়া বাড়ী হলে বাড়ীর মালিকের গ্যারান্টিও কোন কোন প্রতিষ্ঠান দাবী করে। এবং বিনিয়োগ বিপদমুক্ত নিশ্চিত হয়ে ঋণ দেয়। ঋণের পরিমাণ সাধারনতঃ ৩,০০০/ টাকা থেকে ৩০,০০০/ টাকা প্রথমবার দেয়, প্রথমবার সঠিক ভাবে চুকাতে পারলে পরেরবার বিশ্বাসযোগ্যতা অনুযায়ী বাড়িয়ে দেয়। বা ঋণ নাকচ করে দেয়।
এই মহিলারা ঋণের টাকা কিসে ব্যবহার করছেন বা ঋণ নেওয়ার আগে টাকা দিয়ে কি করবেন মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা তার খোঁজ নেননা। কিন্তূ তাদের খাতাকলমে দেখানো হয় স্বনির্ভর বা নিজের উন্নতিকল্পে, ব্যবসার জন্যে মহিলারা ঋণ নিচ্ছেন।
কিছু মহিলা টাকা নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায় খাটান। কিন্তূ দশ বা পনেরো হাজার টাকায় গ্রামের মান মর্য্যাদাহীন, গায়ে-গতরে খাটা মহিলারাই ব্যবসা করতে পারেন, শহরে, আধাশহরের মহিলারা তাদের পারিবারিক মান মর্য্যাদা বজায় রেখে ব্যবসার সুযোগ খুব কম। তারা ইলেক্ট্রনিক্স সাধ আহ্লাদের জিনিস কেনেন। যেটা এককালীন টাকা দিয়ে কেনার সামর্থ তাদের নেই। স্বামীর উপায়ের থেকে ছোট ছোট কিস্তির টাকা বার করে নেয়। আর কিছু মহিলা, তারা বিত্তশালী, এরকম বহু মাইক্রো ফিনান্স সংস্থা থেকে টাকা তুলেন অনায়াসে। ১০% থেকে ৫০% মাসিক সুদে বিপদগ্রস্ত মানুষকে ঋণ দেন। তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও গুন্ডাবাহিনী সব আছে। মাইক্রো ফিনান্সের দ্বারা তারাও ভীষণ উপকৃত। মাইক্রো ফিনান্স তার টাকা সঠিক সময়ে পেলে খুশী।
মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা টাকা ঋন দেওয়ার সময় ঋণ ও তাদের প্রাপ্য সুদ পরিশোধের জন্য ৪০ থেকে ৫০ টি সাপ্তাহিক কিস্তিতে বেঁধে দেন। এবং বলে দেন কোন সপ্তাহ কিস্তি বাদ দেওয়া যাবেনা।
এবার দেখা গেল কোন মহিলা বিপর্যয়গ্রস্ত বা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। সে সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে পারছেনা বা সভায় এলনা। কারণ তার কাছে টাকা নেই, তার স্বামীর কাছেও নেই, মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা তাকে এক সপ্তাহের জন্য বা দুই সপ্তাহের জন্য অব্যহতি দেবেনা। প্রথমে দলের কাউকে দিয়ে খবর পাঠাবে কিস্তি দিয়ে আসার জন্য। তারপর মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা ঋণ নেওয়া পুরো দলটিকে তার কিস্তি পরিশোধের অস্ত্র বানিয়ে নেবে। একজনের কিস্তির জন্য ৩০/৩৫ জন মহিলাকে আটকে রাখবে, প্রথমে বলবে আপনারা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে টাকাটা দিন। দেখা গেল সবার থেকে চাঁদা তুলেও ১৫০/ ২০০ টাকাও সংগ্রহ হলনা। তখন পুরো দলটিকে সাথে নিয়ে মাইক্রো ফিনান্সের লোকেরা কিস্তি দিতে ব্যর্থ মহিলার বাড়ীতে চড়াও হন। ঋণদাতারা ব্যর্থতা জানেননা। তারা ৩০ / ৪০ জন মহিলার শক্তিতে শক্তিমান হয়ে সেই বিপর্যয়গ্রস্ত মহিলাকে হুমকী ডরভয় দেখিয়ে কিস্তি আদায় করতে ব্যর্থ হলে ঘরের মূল্যবান আসবাব তুলে নিয়ে আসেন। একজন মানুষ ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধে সাময়িক ব্যর্থ হলে সামাজিকভাবে অপদস্ত ও অসম্মান করা ভারত সরকারের আইন সিদ্ধ কিনা আমার জানা নেই।
মাইক্রো ফিনান্সের এই চরিত্র গরীবদের কি কাজে লাগে, বা গরীবরা কিভাবে মাইক্রো ফিনান্স বিনিয়োগের আওতায় আসবে তা আবার ভাবা দরকার।
In second part I shall tell you a story of a woman who is a victim of a loan taken from local usurer
And third part a conclusion of loan and Micro finance used by poor people.
Read : http://demanddignity.amnesty.org/en/campaign/about-demand-dignity
Comments